IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের করা সাধারন ৮ টি ভুল নিচে উল্লখ করা হল, যা একজন পরীক্ষার্থীর মূল্যবান পয়েন্ট কমিয়ে ফেলে এবং কাঙ্ক্ষিত স্কোর অর্জন করার ক্ষেত্রে বাঁধা তৈরি করে।
1. Mistake in Listening/ Reading
IELTS Listening/ Reading পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রতিটি সেকশনের উপরে থাকা নির্দেশনা অনুসরণ না করা। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এটিই কাঙ্ক্ষিত স্কোর অর্জন না করতে পারার অন্যতম কারণ।
যেমনঃ প্রশ্নপত্রে নির্দেশিত "Not more than 3 words" এর স্থানে উত্তর হিসেবে ৪ শব্দে সঠিক উত্তর দেয়া হলেও তা ভুল হিসেবে গণ্য হবে, কেনোনা নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারে নি।
2. Mistake in Written Test
IELTS Written task এর নির্দেশিত শব্দসীমার (Task 1 এর জন্য ১৫০, Task 2 এর জন্য ২৫০) চেয়ে কম শব্দে রিপোর্ট, লেটার বা প্রবন্ধ লেখা হলে পয়েন্ট কাটা হয়। এজন্য নির্দেশিত শব্দসংখ্যার সমান বা সামান্য বেশি কিছু শব্দের মধ্যে লেখা সম্পন্ন করা নিরাপদ।
3. Mistake in Written Test
IELTS Written task এর ক্ষেত্রে অনেকের ধারণা শব্দসীমার চেয়ে অনেক বেশি শব্দে লিখলেই হলে ভালো পয়েন্ট পাওয়া যায়। যা কিনা শুধুমাত্র ভুলধারণা নয় বরং Written part এর মার্ক কমিয়ে ফেলার অন্যতম মূল কারণ। শব্দসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বানান বা ব্যাকরণগত ভুল হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
4. Mistake in Writing Test
প্রশ্নপত্রে দেয়া টপিক থেকে সরে আসা বা ভিন্ন কোন টপিক নিয়ে লিখা IELTS পরীক্ষায় সম্পূর্ণরূপে বর্জনীয়। সেধরনের কিছু লিখা হলে, সেই উত্তর যতোভালোই দেয়া হোক না কেনো, কোন নম্বর পাওয়া যায় না।
বিশেষত IELTS Writing Test এর ক্ষেত্রে সাধারণত এধরনের ভুল করা হয়ে থাকে। প্রশ্নে উল্লখ করা প্রতিটি নির্দেশনা এবং টপিক এর সঙ্গে লেখায় সামঞ্জস্য থাকতে হয় এবং প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে আলোচনা করতে হয়। কেননা প্রতিটি টপিক এর জন্য আলাদা আলাদা নম্বর বরাদ্দ থাকে।
5. Mistake in Writing
IELTS Writing Test এর টপিক অনেক সময় repeat হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কেউ যদি মুখস্তনির্ভর প্রবন্ধ লিখে থাকে, তবে পরীক্ষকগণ সহজেই তা ধরে ফেলতে পারে। কেননা IELTS এর পরীক্ষকগণ মুখস্তনির্ভর প্রবন্ধ চেনার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এবং পরীক্ষা কেন্দ্রেই সেসব খাতা চিহ্নিত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবার এখতিয়ার তাদের কাছে থাকে। এজন্য মুখস্তনির্ভর হয়ে না লিখে নিজের মতো করে শুদ্ধভাবে লিখা উত্তম।
6. Mistake in Speaking Test
IELTS পরীক্ষায় accent গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে Pronunciation অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত IELTS Speaking Test এর ক্ষেত্রে এটি সরাসরি ভূমিকা রাখে। যেহেতু IELTS পরীক্ষাটি non-native English speakers এর ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই করে সেহেতু তাদের কোনধরনের accent থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে ভুল উচ্চারণ বা mispronouncing এর জন্য নম্বর কাটা যায়। এজন্য accent যেমনই হোক না কেনো শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে কথা বলা আবশ্যক।
7. Mistakes in Writing/ Speaking Test
IELTS Writing/ Speaking Test এর পরীক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক টপিক উল্লেখ করা থাকে, যেখানে উত্তর দিতে নানা ধরনের আইডিয়ার বহিঃপ্রকাশ করতে হয়। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিৎ, কোন আইডিয়া নিয়ে কথা বলা/ লিখা হচ্ছে তার চেয়ে বড় বিষয় সেসব আপনি কিভাবে প্রকাশ করছেন।
অর্থাৎ সেই আইডিয়া প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বলা/ লিখার শব্দ, ভাষা, বাক্য নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। আইডিয়ার জন্য IELTS এ কোন মার্ক থাকে না বরং সেসব আইডিয়া কিভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে সেটি যাচাই করা হয়।
8. Mistake in Writing
অনেকেই মনে করেন বেশি বেশি Connective words ব্যবহার করা হলে বেশি মার্ক পাওয়া যায়। যা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। Writing part এর নম্বর অনেকাংশেই নির্ভর করে coherence and cohesion এর উপর। Connective words এর সাহায্যে cohesion প্রদর্শন করা সম্ভব, তবে সেসব কানেক্টিং ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সার্বিকভাবে লেখার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে connecting words ব্যবহার না করে প্রয়োজন অনুযায়ী সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উত্তম।
সর্বোপরি, IELTS এ ভালো স্কোর তুলতে হলে পর্যাপ্ত অনুশীলনের বিকল্প নেই।
এই বিশেষ পরীক্ষা পদ্ধতির অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা
এবং একইসাথে পরীক্ষার সময় যেসব বিষয়ে ভুল হবার সম্ভবনা বেশি থাকে সেসব
দিকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে তৈরি করা কাঙ্ক্ষিত স্কোর অর্জন করার মূল রণকৌশল
হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে।
No comments:
Post a Comment